আলবার্ট আইনস্টাইন
( মার্চ ১৪, ১৮৭৯ – এপ্রিল ১৮, ১৯৫৫) এর E=mc2
এর সূত্রটি আমরা সবাই জানি। তিনি ছিলেন একজন নোবেল পুরসস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
তবে তার নাম শুনলেই সাদা এলোমেলো চুল ,গভীর চিন্তায় মগ্ন এমন একজন মানুষের ছবি ভেসে উঠে। তবে
যত গম্ভীরই দেখতে মনে হক না কেন এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হওয়া সত্তেও
তার রসবোধ ছিল অত্যন্ত উচু মাপের।
§ আইনস্টাইন
কথা বলতে শুরু করেন অনেক দেরিতে, ৪ বছর বয়সে। এর ফলে তার মা – বাবা অনেক চিন্তিত হয়ে
পরেন। একদিন খাবার টেবিল এ তিনি বলে উঠলেন
“ সুপটা খুবই গরম।‘ তাকে জিজ্ঞেস করা হল এতদিন
কেন কথা বলেনি। এতে তিনি বললেন “ এতদিন তো সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল।“
§
বিজ্ঞানীরা
সাধারনত একটু ভুলমনাই হএ থাকেন । তবে এক্ষেত্রে বিখ্যাত আলবার্ট
আইনস্টাইন বোধহয় একটু বেশিই এগিয়ে ছিলেন।কারন একবার ট্রেন এ করে যাওয়ার সময় টিকেট চেকার আসলে তিনি কিছুতেই টিকেট খুঁজে পাচ্ছিলেন
না। এমন্সময় চেকার বলল যে সে আইনস্টাইনকে চিনতে পেরেছেন।তাকে টিকেট দেখাতে হবে না।
তখন আইনস্টাইন বললেন ওটা খুঁজে না পেলে আমি
জানব কি করে কথায় যাচ্ছিলাম।
§
তবে
তার ভুলমনের ঘটনার এখানেই শেষ নয়। আইনস্টাইন
এর মেয়ের বিয়ের সময় সবাই চার্চে যাচ্ছিল । পথিমধ্যে অনেক বারণ সত্তেও তিনি ল্যাব এ
গেলেন তার কলম রেখে আসতে। কিন্তু ৩০ মিনিটের কথা বলে আর আসলেন না। তখন সবাই তার
মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন।কিছুদিন পর মেয়ে বাসায় আসলে মাকে বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে মা
বলল সেই যে গেল আর আসেনি। মেয়ে ল্যাবে গিয়ে দেখল তার বাবা কি যেন ভাবছেন।সে বলল বাবা
কি ভাবছ?তখন আইনস্টাইন বললেন ,মা তুমি চার্চে জাও। আমি এই কাজটা ১০ মিনিটের
মধ্যে শেষ করে আসছি।
আইনস্টাইন এর কিছু বিশেষ
উক্তিঃ-
- বাস্তবতা নিছক একটি বিভ্রম, যদিও এটি স্থায়ী।
- আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি না, কারণ এটা যথেষ্ট তাড়াতাড়ি আসে।
- যদি আমাকে ১ টি সমস্যা সমাধানের জন্য ১ ঘণ্টা দেয়া হয় তাহলে আমি ৫৫ মিনিট সমস্যাটা নিয়ে চিন্তা করি আর বাকি ৫ মিনিট সমাধানটা নিয়ে চিন্তা করি।
- কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ⧭ যে কখনও ভুল করে না , সে নতুন কিছু করার চেষ্টাও করে না।
- আলবার্ট আইনস্টাইন
No comments:
Post a Comment